December 22, 2024, 9:54 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এর আগে আজ বিকাল সাড়ে ৫টায় বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকে শেষে সন্ধ্যা ৭টার পর তফসিল ঘোষণা শুরু করেন সিইসি।
তফসিল অনুযায়ী ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ জানুয়ারি (রবিবার)। ওই দিন সকাল ৮টা থেকে টানা ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, ঘোষিত তফসিলকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ স্বাগত জানালেও তীব্র সমালোচনা করেছে বিএনপি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।
সিইসি আরো বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। প্রচারণার জন্য ২২ দিন সময় রয়েছে। নির্বাচনে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ/
ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আগামী জাতীয় নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ঘোষিত তফসিলে জনগণের ইচ্ছা ও প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। নির্বাচনের যে ট্রেন ছেড়ে গেল তা থামানোর ক্ষমতা বিএনপির নেই।
সংলাপের সুযোগ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডোনাল্ড লু আর সিইসির সংলাপের কথা এক নয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ নভেম্বর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন থেকেই বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি শুরু হবে।
‘নিশিরাতের’ তফসিল কেউ মেনে নেবে না: রিজভী/
দেশকে গভীর সংকটে ফেলে দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। নিশিরাতের এই কমিশনের তফসিল কেউ মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বুধবার (১৫ নভেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের এমন অবস্থানের কথা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান।
রিজভী বলেন, জ্বলকামান, সাজোয়া যান নিয়ে, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি নিয়ে নিশিরাতের তফসিল ঘোষণা করলেন নির্বাচন কমিশনার। এই কাজ করে তারা গণশত্রুতে পরিণত হলেন। এর পাল্টা জবাব দিতে জনগন প্রস্তুত। দেশের মানুষ মনে করেছিল যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাইরে নির্বাচন কমিশন কোনো কথা বলবে না। সেটাই হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির সঙ্গে একটা মশকরা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীই থাকবেন, আর তার অধীনে সরকার থাকবে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটা বিশ্বাস করার কঠিন ব্যাপার। দেশে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।
ভয়াবহ পরিস্থিতির দায় ইসিকে নিতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই তফসিল ঘোষণার ফলে ভয়াবহ অচলাবস্থার দায়ভার নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে। আন্দোলন আরো তীব্র হবে। আওয়ামী সরকারের পতন হবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তফসিল দিলেন আর পুলিশি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসবেন, এত সহজ না। এইসব তফসিশ-টপসিল বঙ্গপোসাগরে ভাসিয়ে দেবে জনগণ।
Leave a Reply